গ্রাহকদের সাশ্রয়ের কথা বিবেচনায় নিয়ে ডিরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) সেবা নির্দেশিকা নীতির পুনর্মূল্যায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ডিটিএইচ নির্দেশিকার অনুমোদন দেয় বিটিআরসি।
২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বেক্সিমকো কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং বায়ার্স মিডিয়া লিমিটেডকে ডিটিএইচ লাইসেন্স দিয়েছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। তবে এখনও কোনো কোম্পানি তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। খুব শিগগির ডিটিএইচ সেবা চালু করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিগুলো।
বিটিআরসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ডিটিএইচ সেবা নির্দেশিকার ধারা ৪ এর ১-৮ উপধারায় গ্রাহকদের অপারেটর পরিবর্তন এবং সরঞ্জাম বদলি নীতির বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। ওই ধারার উপধারাগুলোর পুনর্মূল্যায়নের চিন্তা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বর্তমান নীতি অনুযায়ী, কোনো গ্রাহক যদি তার ডিটিএইচ অপারেটর পরিবর্তন করতে চান, তবে গ্রাহক সেবার প্রয়োজনীয় সরঞ্চাম (সিপিই) নতুন অপারেটরের কাছ কাছ থেকে কিনে নিতে হবে। সরঞ্চামগুলোর মধ্যে রয়েছে- কন্টেইন সেট-টপ বক্স, ক্যাবল, ডিশ অ্যান্টেনা ইত্যাদি। এতে গ্রাহকের ব্যয় বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে গ্রাহকের সাশ্রয়ের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৪ নম্বর ধারার ১-৮ নম্বর উপধারা পরিবর্তনের চিন্তা করছে বিটিআরসি।
ওই কর্মকর্তা জানান, কন্টেইন সেট-টপ বক্স, ক্যাবল, ডিশ অ্যান্টেনা ইত্যাদি সরঞ্চাম ফেরত দেওয়ার সুযোগ থাকলে গ্রাহকদের সংযোগ পরিবর্তন ব্যয় কম হবে। এটি গ্রাহকের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির। এর পাশাপাশি সংযোগ পরিবর্তন ও সরঞ্চাম ফেরত নীতির বিষয়ে সম্ভাব্য অন্য সব পরিবর্তনের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে বেক্সিমকো কমিউনিকেশন লিমিডেটের বার্ষিক অবচয় ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়েও চিন্তা করছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির ওই কর্মকর্তা আরও জানান, যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে গ্রাহকের চাহিদাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছে রেগুলেটরি কমিশন। প্রসঙ্গত, টেলিভিশন চ্যানেল বিতরণের একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হলো ডিটিএইচ। এই প্রযুক্তিতে একটি ডিভাইস সংযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল স্যাটেলাইট সম্প্রচার এবং এইচডি সম্প্রচার দেখতে এবং শুনতে পারবেন গ্রাহকরা।
সানবিডি/ঢাকা/আহো