একাদশ শ্রেণিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী শনিবার, যা চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে অনলাইনে। অনলাইনেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি দিয়ে ভর্তি হতে হবে শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে ক্লাস শুরু হলে কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অফলাইনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করবে কর্তৃপক্ষ। এমন কি কলেজের বেতন ও অন্য ফি সে সময়ই নিতে হবে বলে এক আদেশে জানিয়েছে কলেজে ভর্তি বিষয়ক কমিটি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সই করা এক অফিস আদেশ দেয়া হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। সে আদেশে বলা হয়, এবার ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে। তাই শিক্ষার্থী বা অভিভাবককে কলেজে যেতে হবে না।
একাদশে ভর্তির জন্য প্রথম দফায় যেসব শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত হয়েছে, তাদের একটা ফি দিয়ে ভর্তি নিশ্চয়ন করতে বলা হয়েছিল। যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিশ্চয়ন করেনি, তারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে না। পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় তালিকা দিয়ে ভর্তি নিশ্চয়ন করতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
ভর্তি নিশ্চয়ন করা নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা আগামী শুক্রবার ভর্তির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তারাই শনিবার থেকে ভর্তির সুযোগ পাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আরেক আদেশে বলা হয়, এবার ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট জমা না নিয়ে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অনলাইন কপি জমা নিয়েই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে কলেজগুলো।
একইসঙ্গে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন আগামী মার্চ মাস থেকে কলেজগুলো গ্রহণ করবে।
এরইমধ্যে কলেজ থেকে ভর্তির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভর্তির বিসয়ে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে। এবার ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে অনলাইনে। সশরীরে ভর্তি বাবদ কোনো শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে কলেজে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শেষ হলে ক্লাস শুরুর সময় ভর্তির অন্য সব ব্যবস্থা করবে কলেজগুলো।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাদশে ভর্তির আবেদন নেয় কলেজগুলো।
তার আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। ২১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নতুন করে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপিরষদ বিভাগ। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পর সেটি বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করে দেয় সরকার।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালু করা পরের মাস থেকে।