বাংলাদেশের জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি মানচিত্র প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রয়ারি) এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি সক্ষমতা ও মূল্যায়নের জন্য ভূতাত্ত্বিক চিত্র অন্তর্ভুক্ত করে তৈরি করা মানচিত্রটি অবকাঠামো পরিকল্পনা ও নকশা, বিপদ প্রশমন, এবং জলবায়ু ও দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য একটি কার্যকর হাতিয়ার হবে। খবর বাসসের।
এডিবি বলছে, এডিবি’র কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (সিপিএস) ফর বাংলাদেশ (২০২১-২০২৫) এবং স্ট্র্যাটেজি ২০৩০-এ উল্লেখিত অগ্রাধিকার এবং পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য বাংলাদেশের নীতি ও কৌশল এতে প্রতিফলিত হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন এর যুগ্ম প্রধান ড. নুরুন নাহারের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে প্রোগ্রামিং বিভাগ। আঞ্চলিক প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্পের লক্ষ্য হলো কম কার্বন এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উন্নয়নের পথে কার্যকরভাবে রূপান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো পরিচালনায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা।
প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্প জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর সক্ষমতাকে শক্তিশালী করেছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল এবং কর্ম পরিকল্পনা বিকাশ ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা বাড়িয়েছে। ২০২১-২০২৫ সালের জন্য এডিবি সিপিএস প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমনে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু ঘটনা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদগুলোর প্রতি দেশের দুর্বলতা মোকাবেলায় বর্ধিত সহায়তার বিষয়টিতে অগ্রধিকার দিয়েছে।
পানি, নদী এবং উপকূলীয় এলাকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোকে সরাসরি মোকাবেলা করতে কর্মসূচি সম্প্রসারণ করার সময়, জলবায়ু পরিবর্তনকে সংহত করার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। -বাসস।