ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হলে যে পরিস্থিতি হয় বিপিএল ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংস ছিলো তেমনই। টস জিতে ব্যাট হাতে টর্নোডো দেখান সুনীল নারিন। এরপর বিপর্যয়। পরে মঈন আলীর দায়িত্বশীল ইনিংসে ফরচুন বরিশালকে ১৫২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে কুমিল্লা।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ব্যাট হাতে রেকর্ড ভাঙা ইনিংস খেলেন সুনীল নারিন। দলকে ফাইনালে তুলতে ১৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। থামেন ১৬ বলে ৫৭ রান করে। ফাইনালেও ইনিংস ওপেন করতে নেমে তিনি খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। এবারের ঝড়টা একটু কম বিধ্বংসী।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার তাঁর ইনিংস সাজান ২৩ বলে পাঁচটি ছক্কা ও সমান সংখ্যক চারে। ব্যক্তিগত ৪ চারে ওপেনার লিটন দাস আউট হওয়ার ধাক্কা তিনি দলের গায়ে লাগতেই দেননি। নারিন ফিরে যান ৫.২ ওভারে দলকে ৬৯ রানের দুর্দান্ত শুরু দিয়ে।
এরপরই বিপর্যয়ে পড়ে কুমিল্লা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দুইশ’ লক্ষ্য ধরে খেলা দলের লাগাম টেনে ধরেন মুজিব উর। ১০.৩ ওভারে ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা তখন অলআউট হওয়ার শঙ্কায়। ওই ধাক্কা সামাল দেন মঈন আলী ও আবু হায়দার। তাঁরা ৫৪ রান যোগ করেন।
শেষ তিন ওভারে হাত খুলে খেলা শুরু করতেই ফিরে যান মঈন আলী। দারুণ বিপিএল কাটানো ইংলিশ অলরাউন্ডার ৩২ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। আবু হায়দার এক চার ও এক ছক্কায় ২৭ বলে ১৭ রান করেন।
বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট তুলে নেন মুজিব উর। তরুণ বাঁ-হাতি পেসার শফিকুল ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। সাকিব আল হাসান, ডোয়াইন ব্রাভো ও মেহেদি রানা যথাক্রমে ৩০, ২৬ ও ৩৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন।
এএ