শক্তিশালী শীতকালীন ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড ইউরোপের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৬ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানা এ ঝড়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত আটজন। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় লক্ষাধিক মানুষ। খবর জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আঘাত হানার পর পশ্চিম ইংল্যান্ডে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে ইউনিস। ঝড়ের মধ্যে চলন্ত গাড়ির ওপর গাছ পড়ে লন্ডনে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। লিভারপুলে উড়ন্ত ধ্বংসাবশেষের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন গাড়িতে থাকা আরেক ব্যক্তি। হ্যাম্পশায়ারে উপড়েপড়া গাছের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় মারা গেছেন একজন।
এদিকে, নেদারল্যান্ডসে গাছ উপড়ে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। বেলজিয়ামে শক্তিশালী বাতাস একটি হাসপাতালের ছাদের ওপর ক্রেন ফেলে দিয়েছে ও এক ব্রিটিশ নাগরিক নৌকা থেকে পড়ে মারা গেছেন। আয়ারল্যান্ডে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের সময় গাছ পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যক্তি।
ইউনিসের ঝড়ো বাতাসে লন্ডনের বিখ্যাত ও২ অ্যারিনার সাদা চাল ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তীব্র বাতাসের আঘাতে কেঁপে উঠেছে ক্যানারি ওয়ার্ফের বহুতল ভবনগুলো।
ব্রিটিশ আবহাওয়া সংস্থা মেট অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ ফ্রাঙ্ক সন্ডার্স জানান, ঘূর্ণিঝড় ইউনিস সত্যিই জোরালো আঘাত হেনেছে। আমরা কেবল প্রাণহানির আশঙ্কা দেখলেই লাল সংকেত জারি করি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ঝড়ের সময় আইল অব ওয়াইটে ১৯৬ কিলোমিটার (১২২ মাইল) বেগে বাতাস বইতে দেখেছেন। যা যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দমকা হাওয়ার রেকর্ড।