শরীরের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো লিভার। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেই লিভারের নানা রোগে ভোগেন। তবে আপনি যদি নিয়মিত গাজর খান তাহলে লিভারকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে সুস্থ রাখতে পারবেন। শুধু লিভারই নয় বরং ফুসফুসও ভালো রাখে গাজরে থাকা পুষ্টি উপাদানসমূহ।
এ কারণে গাজরকে সুপারফুড বললেও ভুল হবে না। গাজর একটি মূলজাতীয় সবজি। ভারতের লাইফস্টাইল কোচ লুস কৌতিনহোর সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, গাজর কীভাবে খেলে ভালো থাকবে স্বাস্থ্য। তার মতে, গাজর খাওয়ার সেরা উপায় হলো ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া। এর ফলে দাঁতের স্বাস্থ্যও যেমন ভালো থাকবে, লিভারও থাকবে সুস্থ। গাজর শরীরের জন্য খুবই উপকারী। জেনে নিন শরীর ভালো রাখতে আরও যেসব উপকার করে গাজর-
গাজরে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। যা শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে কোথাও ক্ষত থাকলে তা দ্রুত ভালো হয়। এ ছাড়াও গাজর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গাজরে আরও থাকে ফাইবার। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত ফাইবারজাতীয় খাবার খেলে তাদের গ্লুকোজ মেটাবলিজমে উন্নতি লাভ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের গাজর খাওয়া আবশ্যক।
গর্ভবতী নারীদেরও গাজর খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় না। যেসব মা শিশুকে দুধপান করান, তাদের নিয়মিত গাজরের রস পান করা উচিত।
হজম ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। গাজর খেলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও বদহজমের সমস্যা থেকেও মেলে মুক্তি। এমনকি লিভারের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা নিয়মিত গাজরের রস বা স্যুপ খেলে মিলবে উপকার।
গাজরে থাকা উপকারী উপাদানগুলো ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অংশ নেয়। এ ছাড়াও শ্বাসনালির প্রদাহ ভালো করে। কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজরের জুস অনেক উপকারী। গাজরে থাকা পটাসিয়ামই এর মূল কারণ।
গাজরে ক্যালোরি ও সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়াও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে গাজর। শরীরচর্চার পর কিংবা এক গ্লাস গাজরের জুস শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান করে।
লাইফস্টাইল কোচ লুস কৌতিনহোরের মতে, গাজর চিবিয়ে কিংবা রস করেও খেতে পারেন। ক্যানসার রোগীর চিকিৎসায় সংক্রমণের সম্ভাবনা কমাতে সব সময় অর্গ্যানিক গাজরের জুস খাওয়ানো উচিত।
যেভাবে তৈরি করবেন- এজন্য গাজর ছোট টুকরো করে নিন। এরপর সাম্য ভাঁপ দিয়ে নিন। তারপর ব্লেন্ডারে গাজরের টুকরো, পরিমাণ মতো লবণ ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
এর সঙ্গে যোগ করুন ঠান্ডা পানি। তারপর ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এই জুস তৈরির আধা ঘণ্টার মধ্যেই পান করুন।