বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ২৩ হাজার ৯০০ জনে। আর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ১৯৪ জনে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৫৫৭ জন। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৮ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৭ জন এবং মারা গেছেন ৩২৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৭৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২২ হাজার ৩৬৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৮৮৭ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৪৫৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৬৩ হাজার ২২০ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৯৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩১ জনের। একই সময়ে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ১৯৪ জন এবং মারা গেছেন ১৭৩ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৩৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২৮৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৪ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫০২ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১২ হাজার ৬৫১ জন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ১৩০ জন এবং মারা গেছেন ২০৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬০ হাজার ৮১৫ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৪৪০ জন এবং মারা গেছেন ২৮৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৭০ জন এবং মারা গেছেন ২৭১ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ২৯ জন এবং মারা গেছেন ৩২২ জন।
এছাড়া গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ হাজার ৩৮২ জন এবং মারা গেছেন ২৮৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৪ লাখ ১ হাজার ৪০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৭৬ জন মারা গেছেন। গত একদিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৮০ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পোল্যান্ডে ৩২৫ জন, আর্জেন্টিনায় ১৬৭ জন, গ্রিসে ৬৮ জন, ইরানে ২২৩ জন, জাপানে ১৭৯ জন, রোমানিয়ায় ২০৭ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬৪ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২৫৭ জন এবং হাঙ্গেরিতে ১৩১ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৯৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
এম জি