এ বছর রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছে।হলুদ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঘা উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে উৎপাদন। এতে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে।
এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও বাজার এবং চাতালে দেখা যায়, মাঠে কৃষকরা হলুদ ওঠাতে ব্যস্ত। চাষিরা বিভিন্ন যানবাহনে করে বস্তা বস্তা হলুদ বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসছেন। ব্যবসায়ীরা কাঁচাহলুদ কিনে চাতালে সিদ্ধ করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে শুরু করেছেন।
আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোচর মহল্লার হলুদচাষি মজবুল হোসেন, সেলিম উদ্দিন, হাফিজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ প্রায় একই রকম তথ্য দিয়ে জানান, উপজেলার পাবনা, গাঙ্গীয়া, সোনামুখী, ডিমলা বারী-১ প্রভৃতি জাতের হলুদ চাষ হয়। এ বছর গাঙ্গীয়া জাতের হলুদ ফলন ভালো হয়েছে। এ জাতের হলুদটি আকারে মোটা এবং রঙ অন্যান্য হলুদের তুলনায় ভালো। প্রতিবিঘা জমিতে ৫০-৫৫ মণ উৎপাদন হয় এটি।
বাজারে প্রতিমণ কাঁচাহলুদ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা পর্যন্ত। হলুদ চাষে জৈব সার ব্যবহার হওয়ায় খরচ খুব কম হয়েছে। বিঘাপ্রতি সার ও বীজসহ খরচ হয় ৮০০ থেকে ১০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমির কাঁচাহলুদ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, এ বছর উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা আট হাজার ৩০০ টন। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার টন। উপজেলার পাশ দিয়ে বড়াল নদী বয়ে যাওয়ায় জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে না।
সানবিডি/এনজে