নিজ দেশের নাগরিকদের দ্রুত রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন। একইসঙ্গে নতুন করে রাশিয়া প্রবেশে নাগরিকদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সতর্কবার্তায় এ নির্দেশনা দেন। ইউক্রেন রাশিয়ান ফেডারেশেনের যে কোনো ধরনের ভ্রমণ থেকে বিরত আছে।
এদিকে ইউক্রেন সংকট নিরসনে কূটনৈতিক আলোচনার ব্যাপারে কোনো উৎসাহ নেই বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাক্সার টেকনোলজির প্রকাশিত কয়েকটি স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, ইউক্রেন সীমান্তে বেলারুশের দক্ষিণে বিপুল সেনা মোতায়ান ও যুদ্ধ সরঞ্জাম দেখা গেছে।
ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম ধাপে নিষেধাজ্ঞা দেন তিনি।
এর আগে রাশিয়ার দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথাও ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার ভিইবি ব্যাংক ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ব্যাংক প্রোমসভায়াজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এ ছাড়া যেসব ধনকুবেরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন না। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের থাকা ওই ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ করা হবে।
এর আগে রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। ব্যাংক ৫টি হলো- রোসিয়া, আইএস ব্যাংক, জেনারেল ব্যাংক, প্রোমসভায়াজ ব্যাংক এবং ব্ল্যাক সি ব্যাংক।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এগুলো রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এই নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে গেনেডি তিমচেনঙ্কো, বরিস রোটেনবার্গ এবং ইগোর রোটেনবার্গ নামে রাশিয়ার তিন ব্যক্তির সব সম্পদের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এম জি