দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য মডার্ন সিকিউরিটেজের গ্রাহকদের হিসেবে ৭ কোটি টাকার ঘাটতি পেয়েছে। বিষয়টি ২৩ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে ডিএসই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি, ডিএসইর একটি দল ব্রোকারেজ হাউসে পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা গ্রাহকদের সমন্বিত হিসেবে ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪০৬ টাকার ঘাটতি খুঁজে পেয়েছে। চিঠিতে ডিএসই বিএসইসিকে জানিয়েছে, এর মাধ্যমে মডার্ন সিকিউরিটিজ স্টক-ডিলার,স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি বিধিমালা ২০০০ এর ৬ (১)(২) লঙ্ঘন করেছে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন স্টক ব্রোকার তার নামে শুধুমাত্র একটি সমন্বতি অ্যাকাউন্ট খুলবে। এই হিসেবে শুধুমাত্র গ্রাহকদের থেকে প্রাপ্ত টাকা জমা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে। কোনও স্টক ব্রোকার কোনোভাবেই সমন্বিত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে অন্তর্নিহিত কোনো উদ্দেশ্যে থাকবে না। একই সাথে এখান থেকে কোনো ব্যক্তি বা সত্তাকে ঋণ দেবে না।
এ বিষয়ে মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই-নাহারিন বলেন, ডিএসই যেই টাকার কথা বলেছে, এতো টাকা ঘাটতি ছিলো না। তবে অল্প কিছু টাকা ঘাটতি ছিলো, সেই টাকা ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
এদিকে গত, গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে লেনদেন বন্ধ আছে তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের ১৩৮ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে।
অন্যদিকে গ্রাহকদের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৪ জুন থেকে বন্ধ আছে আরেক প্রতিষ্ঠান বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড। এর আগে করোনার মধ্যে গ্রাহকদের ৪৮ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মালিকরা। এই প্রতিষ্ঠানটিরও কার্যক্রমে বন্ধ করে দিয়েছে ডিএসই।