বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭১৮ জনে। আর এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জনে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার ৩৮২ জন। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৯১২ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছেন ২৭৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৩ লাখ ১১ হাজার ৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২২ হাজার ৮৯৫ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৭৭৭ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮২ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৬২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৮ জনের। একই সময়ে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৯২ জন এবং মারা গেছেন ২২৬ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৯৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৪৯৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার ৯৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৬ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০৪ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৪০৬ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৮ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৩৩ জন এবং মারা গেছেন ১২৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ১০৪ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২৭৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৭০৮ জন এবং মারা গেছেন ২৮১ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৬৯ জন এবং মারা গেছেন ২৪৯ জন।
এছাড়া গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৭৩২ জন এবং মারা গেছেন ২৮১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭০ জন মারা গেছেন। গত একদিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পোল্যান্ডে ৩৪১ জন, আর্জেন্টিনায় ৯৭ জন, গ্রিসে ৬৫ জন, ইরানে ২২৬ জন, জাপানে ২৫৭ জন, রোমানিয়ায় ১০৫ জন, কানাডায় ১২৪ জন, ফিলিপাইনে ১৮৮ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪০ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৩১৭ জন এবং হাঙ্গেরিতে ১০২ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৪৪৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৪১ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।