জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তী উপলক্ষ্যে “ইমব্রেস ফ্রেন্ডশিপ: জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন” শীর্ষক এক চিত্র-প্রদর্শনী উন্মোচন করেছে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) বাংলাদেশ। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রিন্টমেকিং অনুষদের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আনিস-এর চিত্রকর্ম এই প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ। দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাপানিজ কৌশল উডকাট প্রিন্টমেকিং পদ্ধতিতে চিত্রকর্মগুলো তৈরি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি এবং বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। ২৫ ফেব্রুয়ারি, রাজধানীর গুলশান-এ অবস্থিত বে'স এজওয়াটার-এর এজ গ্যালারিতে এই চিত্র-প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি বলেন, “এই চিত্র-প্রদর্শনীর উদ্বোধন করতে পেরে আমি সত্যিই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। এটি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে গৌরবময় বন্ধুত্বকে শ্রদ্ধার সাথে তুলে ধরেছে। নিঃসন্দেহে দুই দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং জাপান-বাংলাদেশ সরকার দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, “চিত্র-প্রদর্শনীর এই অনুষ্ঠানটি সফলভাবে উদ্বোধন করার জন্য আমি জেটিআই কে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। একই সাথে প্রখ্যাত শিল্পী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আনিসকেও অভিনন্দন জানাই। ‘ইমব্রেস ফ্রেন্ডশিপ’ জাপান এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে প্রদর্শিত হচ্ছে। জাপান ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের পাশাপাশি জাপান এই অনুষ্ঠানটিকে একটি স্মারক অনুষ্ঠান হিসাবে সমর্থন করছে।”
জেটিআই বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নীল ক্যুপল্যান্ড বলেন, “এই তাৎপর্যপূর্ণ মুহুর্তটি উদযাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও মানব উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, শিল্প ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধনেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জাপান। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে মাইলফলক বিনিয়োগের পর থেকে জাপান-বাংলাদেশের সুসম্পর্কের পাশাপাশি জাপানের সাথে যুক্ত শিল্পীদের সমর্থন করে আসছে জেটিআই। এই চিত্র-প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য হলো দুই দেশের বন্ধুত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।”
চিত্র-প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকালে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ি, শিল্পী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এএ