গত বছর করোনার কারণে বই মেলায় ঘুরতে আসা না হলেও এবার বইমেলায় এসেছে মিরপুরের অভিযাত্রিক স্কুলের সামিয়া, লামিয়া, একান্ত ও হাবিব সহ ৪০ জন শিক্ষার্থী। স্কুলের উদ্যোগে বইমেলায় ঘুরতে এসে বিকাশের কাছ থেকে ৫টি করে গল্পের বই পেয়ে ওদের সবার সময়টা কেটেছে আনন্দে।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও বইমেলা উপলক্ষ্যে বিকাশের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল, কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঠাগার, বৃদ্ধাশ্রমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতে বই দেয়া হবে। মেলায় আসা ক্রেতা-পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের দেয়া বই, দেশজুড়ে বিকাশ গ্রহকসেবা কেন্দ্র, সুপার শপগুলোতে গ্রাহকদের প্রদান করা বই এবং বিকাশের পক্ষ থেকে দেয়া বইগুলোকেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই লাইব্রেরিগুলোতে বিতরণ করা হবে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে মেলায় আসা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে বইগুলো তুলে দেয়া হয়। এসময় বিকাশের চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের চাইল্ড স্পন্সরশিপ এর প্রধান সাদ বিন সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বইমেলা উপলক্ষ্যে গত দুই বছরে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২২,৬৫০টি বই বিতরণ করেছে বিকাশ। এবারের বই বিতরণ কার্যক্রমকে সফল করে তুলতে মেলা প্রাঙ্গণে ৫টি বিশেষ বুথ তৈরি করেছে বিকাশ। এছাড়া, বিকাশ এর বিভিন্ন গ্রাহকসেবা কেন্দ্র, আগোরা, মীনাবাজারের মত শপিং মার্টগুলোতেও বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বুথে এসে নতুন পুরাতন সব ধরনের বই দিতে পারছেন আগ্রহীরা।
বিকাশ সিএমও মীর নওবত আলী বলেন, “বাঙালীর প্রাণের মেলা বইমেলাতে সব বয়সীদের আনাগোনায় আমরা বুঝতে পারি বইমেলা কেবল মেলা নয়, উৎসব। বইমেলায় এসে সন্তানের জন্য বই কিনছেন অনেকেই। আপনার শিশুর মতো সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও যেন বিভিন্ন রকম বই হাতে পেয়ে কল্পনার জগতে পাখা মেলতে পারে তাই বই অনুদান উদ্যোগ নিয়েছে বিকাশ। গত কয়েক বছর ধরে আপনাদের দেয়া বই এবং বিকাশের দেয়া বই মিলিয়ে কত শিশুর সময়টাকে রঙিন করে তুলতে পেরেছি। গত দুই বছরের মতো এবারো আমরা আরো বড় পরিসরে বই সংগ্রহ করছি এমন শিশুদের জন্য। তাই আপনাদের সবার প্রতি আহবান থাকবে মেলায় এসে এইসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বই প্রদান করে তাদের মেধা, মনন বিকাশে ভূমিকা রাখবেন। পাশপাশি সব পাঠকের বই কেনার আনন্দ বাড়িয়ে দিতে বিকাশ পেমেন্ট ১০ শতাংশ ১৫০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক তো আছেই।”
অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের সাদ বিন সাত্তার বলেন, “লাইব্রেরিতে বিভিন্ন রকম বই পড়ার সুযোগ বাচ্চাদের জন্য কতখানি পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে তা আমরা গত দুই বছর ধরে দেখছি। বিশেষ করে করোনাকালে ঘরে থাকার সময় সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা লাইব্ররি থেকে বইগুলো নিয়ে নিয়মিত পড়েছে। এবার আবার ওদেরকে মেলায় নিয়ে এসে বই হাতে তুলে দিতে পারা ওদের জন্য যেমন আনন্দের, তেমনি আমাদের জন্যও ভালো লাগার। বিকাশ এর উদ্যোগে আমরা সব শ্রেণী পেশার মানুষকে বই উপহার দিয়ে এই উদ্যোগকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবো, এটাই আমাদের আশা।”
উল্লেখ্য, এবারও অমর একুশে গ্রন্থমেলার পৃষ্ঠপোষক বিকাশ। পাশাপাশি গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় বইমেলায় বিকাশ পেমেন্টে বই কিনলে ১০ শতাংশ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন গ্রাহকরা। প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি বিকাশ পেমেন্ট করা ১০ জন গ্রাহক পাচ্ছেন ২০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার। এছাড়া মেলার দর্শনার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানির আয়োজন, যাদের প্রয়োজন তাঁদের হুইল চেয়ারে মেলা ঘুরে দেখার সুযোগ, শিশুদের জন্য পাপেট শো আয়োজন সহ বসার ব্যবস্থাও করেছে বিকাশ।
এএ