কালিহাতির ঘটনায় আসামি হওয়া উচিত পুলিশের
আপডেট: ২০১৫-০৯-২১ ১৮:৫৪:২৯
টাঙ্গাইলের কালিহাতির ঘটনা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘কালিহাতির ঘটনার মামলায় আটশ মামলা হওয়াটা অস্বাভাবিক। এই মামলার প্রধান আসামি হওয়া উচিত পুলিশের। মাছ দিয়ে তো শাক ঢাকা যায় না।’
সোমবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় শাখার আয়োজনে শেখ হাসিনার চ্যাম্পিয়ান অব দ্যা আর্থ পুরস্কার লাভ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
একই ঘটনায় পুলিশের আইজি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় কার ইন্ধন আছে, কিভাবে আছে সেটা আপনারা খুঁজে বের করুন। আর সেখানে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট ছিল? পুলিশ কার নির্দেশে গুলি চালিয়েছে সেটাও বের করার দায়িত্ব পুলিশের।’
এর দায়ভার কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নিতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় তার পাশে বসে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুকে নির্দেশ করে বলেন, ‘পুলিশ গুলি চালাতে গেলে কার নির্দেশ দরকার হয় উনি বলুক। মানুষ সব বুঝে ও জানে।’
মেডিকেল ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবি তুলে সুরঞ্জিত বলেন, ‘যদি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে থাকে তাহলে আবার সেই পরীক্ষা নেয়া হোক। অভিযোগ উঠল আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখালো। এটা যদি ঠিক থাকে তবে কিভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে? দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বিষয়টি ভাবা উচিত। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নাসিমের মতো একজন অভিজ্ঞ মন্ত্রী থাকার পরও এমন অভিযোগ জাতি আশা করে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, উনি তো সেখানে গিয়ে তার ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। ছেলের পরামর্শে তিনি সুষ্ঠু রাজনীতির পথে ফিরে আসবেন না। বরং দেশের রাজনীতি উগ্র পথেই ফিরে যাবে।’
সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর জবাবে তিনি বলেন, সরকারি আমলাদের বেতন বাড়ানো হলো। আর শিক্ষকদের বাড়ানো হলো না। এতে সরকারের ভিতরে কোনো ইন্ধন আছে কিনা তা দেখতে হবে এবং যারা এ ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে তা খতিয়ে দেখে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
সংগঠনের আহ্বায়ক মাকসুদুর রহমান খান মাকসুদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডীন মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি ফাতেমা জলিল সাথী, ব্যারিস্টার সোহরাব খান ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু প্রমুখ।