জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি বিডিনিউজের স্টাফ রিপোর্টার কাজী মোবারক হোসেনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। এসময় আরো এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ঘাতকদের একজনকে হাতেনাতে ধরলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে জবির প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের ইন্ধনে সাংবাদিকের উপর হামলা করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলে কাজী মোবারক হোসেন এবং বাংলামেইলের স্টাফ রিপোর্টার ইমরান আহমেদ অপু মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় প্রধান ফটকের সামনে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা করে। এসময় আইন বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী জবি ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলামের অনুসারী ইমরান বিশ্বাস সাদা রঙের একটি চাপাতি দিয়ে মোবারকের মাথায় কোপ দেয়। এতে মোবারকের ডান চোখের উপরে গুরুতর যখম হয়।
এসময় তার মোটরসাইকেলে থাকা বাংলামেইলের স্টাফ রিপোর্টার ইমরান আহমেদ অপু এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে সন্ত্রাসীরা। পরে ছাত্রলীগকর্মী ইমরান বিশ্বাসকে হাতেনাতে ধরে ক্যাম্পাসের ভিতরে নিয়ে যান সাংবাদিক ইমরান আহমেদ অপু। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। আহত মোবারককে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিডফোর্ট) চিকিৎসা দেয়া হয়।এ বিষয়ে কাজী মোবারক হোসেন বলেন, মাস্টার্সের সনদ উত্তোলনের জন্য তিনি ক্যাম্পাসে যান। ফেরার পথে কয়েকজন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। এতে তার ডান চোখের উপরে গুরুতর যখম হয়।জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘাতকদের একজনকে সনাক্ত করা গেছে। শিগগির তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, ঘটনা তিনি জানেন। ঘাতক ইমরান বিশ্বাসকে সনাক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কাল(মঙ্গলবার) ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ওসি আবুল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। শিগগির আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইমরান বিশ্বাসকে ছাড়িয়ে নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে জবি ছাত্রলীগ সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম বলেন, আহত সাংবাদিক মোবারক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ব্যাক্তি এবং ছাত্রলীগ কর্মী। তার উপর ছাত্রলীগের হামলা ভিত্তিহীন। যারা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সুপারিশ করেছেন বলে জানান।
সোমবার সন্ধ্যায় জবি ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলামের মোবাইলে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি