নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ৭ আসামির সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১২ এপ্রিল ধার্য করে আদালত।
আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ-৯ এর বিচারক আমিনুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ.কে.এম. মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি.এম. ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে গেলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই দুর্নীতির এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট, সেই সঙ্গে দেওয়া হয় রুল।
মামলা দায়ের কেন আইনগত কর্তৃত্ববর্হিভূত ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় জামিন পান খালেদা।
প্রায় ৭ বছর পর গত বছরের শুরুতে রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। এরপর ওই বছরের ১৮ জুন রুল খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া ৩১ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক আমিনুল ইসলাম ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেন।