পৌনে দুই কোটি গরিব কৃষকের আয় বাড়াতে ১২ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বাজার দরে টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ১ হাজার ৩২ কোটি টাকা। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা এই বিপুলসংখ্যক মানুষের আয় বাড়ানোর জন্য নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পটির নাম-‘ক্লাইমেট-স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ বা ‘জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনা।
বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প বন্যা ব্যবস্থাপনা, পানি নিষ্কাশন ও সেচের অবকাঠামো আধুনিকীকরণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টি, উন্নত সেচ, বন্যা ব্যবস্থাপনা এবং ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে পানি নিষ্কাশন পরিষেবায় সহায়তা করা হবে। এতে বন্যাজনিত ফসলের ক্ষতি ৬০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পে কিছু মানুষকে পুনর্বাসন করা হবে। সে লক্ষ্যে দরিদ্র ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা, সেচ ও পানিনিষ্কাশন উপ-প্রকল্প চিহ্নিত করা করেছে। এর মাধ্যমে এক লাখ কৃষককে জলবায়ু সহনশীল কৃষিপ্রযুক্তি, ফসলের বৈচিত্র্যকরণ ও ফসল তোলা পরবর্তী ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পটি দেশীয় প্রজাতি সংরক্ষণ এবং রোগনিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার উন্নতিতে সহায়তা করবে।
প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে, হিমাগার স্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের উন্নতি নিশ্চিত করা এবং এর মাধ্যমে ধান ও মাছ বা চিংড়ি চাষে সহায়তা করা। এতে মৎস্য উৎপাদন প্রায় ৩৭ শতাংশ, সবজি ১০ শতাংশ ও চাল উৎপাদন সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
সম্প্রতি এই ঋণচুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন স্বাক্ষর করেন। এই ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)। ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (বিরতি) ৩৫ বছরের মেয়াদে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
এএ