জমি ক্রয়, বিয়ে থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের নানা বিষয়ে দলিল করতে হয়। দলিলের বিষয়ের ওপর নির্ভর করে স্ট্যাম্পের মূল্যমান বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাজেটে দলিল সম্পাদনের জন্য স্ট্যাম্পের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরোনো মূল্যের স্ট্যাম্প দিয়ে দলিল লেখা হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে ও কোনো রকম আইনগত ভিত্তি থাকবে না।
কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে তা তুলে ধরা হলো সানবিডির পাঠকদের জন্য:
১. রাজউকের প্লট , ট্যাক্স এবং ট্রাস্ট ডিড ক্যাপিটাল দলিলের জন্য মোট মূল্যের ওপর ২ শতাংশ টাকার সমমানের স্ট্যাম্প।
২. অছিয়তনামার কপির জন্য ৩০ টাকার স্ট্যাম্প।
৩. নকলের কবলা, বন্ড, বণ্টননামা, সার্টিফাইড কপির দলিলের জন্য ৫০ টাকার স্ট্যাম্প।
৪. অনুলিপি, খাস-মোক্তারনামা দলিলের জন্য ১০০ টাকার স্ট্যাম্প।
৫. হলফনামা, বায়নার হলফনামা, হেবার ঘোষণাপত্র, না দাবি পত্র, বাতিলকরণ দলিলের জন্য ২০০ টাকার স্ট্যাম্প।
৬. চুক্তিনামা দলিল, অঙ্গীকারনামা, বায়নানামার দলিল, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাগ্রিমেন্ট, রিডেম্পশন, সোলেনামা বা আপসনামার দলিলের জন্য ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প।
৭. আমমোক্তারনামা দলিল ও সাফকবলা দলিলের জন্য ৪০০ টাকার স্ট্যাম্প।
৮. তালাকের হলফনামার দলিলের জন্য ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প।
৯. অংশীদারি দলিলের জন্য ২ হাজার টাকার স্ট্যাম্প।
এছাড়া মর্টগেজ বা বন্ধকের দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে:
ক. ১ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২ হাজার টাকা।
খ. ২০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা।
গ. ১ কোটি ১ টাকার ওপরের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার ও প্রতি লাখের জন্য ২ শতাংশ হারে মোট টাকার মূল্যমানের স্ট্যাম্প।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ