নতুন অনুমোদন পাওয়া ১২টি ট্রেকের (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বিধিমালা, ২০২০ যথাযথভাবে পরিপালন না করায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেকের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি ডিএসই ও সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
ট্রেকের অনুমোদন বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি ডিএসইর, বাকিগুলো সিএসইর। সিএসইকে নতুন ২৬টি ট্রেকের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। বিধি-বিধান যথাযথ পরিপালন না করার কারণে ১১টি ট্রেকের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। ফলে সিএসইর নতুন ট্রেকের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টি। ডিএসইকে নতুন ৫৮টি ট্রেকের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। বিধি-বিধান যথাযথ পরিপালন না করার কারণে ১টি ট্রেকের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। ফলে ডিএসইর নতুন ট্রেকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৭টি।
ট্রেক অনুমোদন বাতিল করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ লিমিটেড (ডিএসই), বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই), শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোং লিমিটেড (সিএসই), মার্চেন্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই), এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (সিএসই), ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ লিমিটেড (সিএসই), কলম্বিয়া শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ (সিএসই), বিপ্লব হোল্ডিংস লিমিটেড (সিএসই), বিনিময় সিকিউরিটিজ (সিএসই), বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (সিএসই), ম্যাট্রিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই) এবং ডিপি৭ (সিএসই)।
বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা, ২০২০ এর বিধি ৩(২) এবং ৪(৭) পরিপালন না করার কারণে ডিএসই ও সিএসইর নতুন ১২টি ট্রেকের প্রাথমিক অনুমোদন বাতিল করা হলো।
বিধি অনুযায়ী ট্রেক নেওয়ার আগে দরখাস্তকারী নিবন্ধন ফিস ববাদ ১ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জের অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করবে। কিন্তু তারা তা করেনি। একইসঙ্গে ট্রেকের জন্য ডিপোজিট ফি বাবদ ৩ কোটি টাকাও জমা দেয়নি। ফলে এসব বিধি-বিধান পরিপালন না করায় ট্রেক অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর