গত কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল অর্থনৈতিক টানাপড়েনে ভুগতে থাকা দ্বীপদেশ শ্রীলংকা। দৈনিক ১৩ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ দেশবাসী। বিদ্যুৎশিল্পের ‘কুঠারাঘাতে’ পর্যুদস্ত দেশটির পর্যটন শিল্প। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ বাঁচাতে কৃচ্ছ তা সাধনের পথ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও তার অধীনস্থ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের জ্বালানি খরচ কমাতে ‘হোম অফিস’ (বাড়ি থেকে কাজ) করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এএফপি।
রাজাপাকসে জানান, শ্রীলংকা জনগণের ধৈর্যের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। জনসাধারণের সহযোগিতায় মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধকেও জয় করেছে সরকার। তিনি বলেন, ‘চলুন, বর্তমান চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে ঐক্যবদ্ধ হই। আমি জানি দেশ নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। জ্বালানির ঘাটতি মোকাবিলার একটি উপায় হলো লোকদের বাড়ি থেকে কাজ করা।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনকি বারবার লোডশেডিংয়েও কর্মকর্তারা তাদের কাজ শেষ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার হিসাবে আমরা জনগণের দুর্দশার প্রতি শতভাগ সংবেদনশীল। আমরা সব বিপর্যয় মোকাবিলা করার পদক্ষেপ নিচ্ছি’।
এদিকে বিদ্যুৎ সংকটে মুখথুবড়ে পড়েছে শ্রীলংকার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প। কয়েক দশক ধরে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দেশটির নারকেল পাম-রেখাযুক্ত সৈকত এবং বহিরাগত বন্যপ্রাণীর সমাহার দেশটিকে বিশ্বব্যাপী উচ্চবিত্তের জন্য ভ্রমণের উপযোগী আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। করোনা-পরবর্তী দুর্যোগ থেকে বেরিয়ে আসার উল্লেখযোগ্য অনুষঙ্গ এই খাত এখন হুমকির সম্মুখীন। দেশটির সমুদ্রসৈকতে থাকা গেস্ট হাউজগুলো অন্ধকারে নিমজ্জিত। এ কারণে বেড়াতে আসা বিদেশি পর্যটকরা যারপরনাই বিরক্ত। বিদ্যুতের অভাবে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াইফাই সংযোগ। চার্জের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে কারও কারও মোবাইল ফোন।