বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করার একদিন পরই বিদেশি শ্রমিক নেয়া সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া। শুক্রবার সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে এক বৈঠকের পর দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি সব ‘সোর্স কান্ট্রি’ থেকে কর্মী নেয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামায় এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জাহিদ হামিদি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলাদেশসহ সব বিদেশি শ্রমিক নেয়া বন্ধ রাখা হবে। আমরা সব নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন জানাবো, দেশীয় শ্রমিকদের নিয়োগ দিন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ শ্রমিকদের আটক করে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এখন আমাদের কত শ্রমিক প্রয়োজন, সে বিষয়ে সরকার সন্তোষজনক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশ থেকে কর্মী নেয়া স্থগিত থাকবে।
সারাওয়াকের কুচিংয়ে সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণে উপপ্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন বিপুল করতালি দিয়ে তার ঘোষণাকে স্বাগত জানায়।
মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি একই সঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। তিনি আশা করেন, মালয়েশিয়া বিশেষত, দেশটির তরুণরা সরকারের সিদ্ধান্তে সাড়া দেবেন এবং বিদেশিদের কাছে থাকা কাজগুলোতে নিজেরা অংশ নিয়ে দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধিতে অবদান রাখবেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি রিচার্ড রায়টের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এ চুক্তি সই করেন। নির্মাণ খাত, সেবা খাত, মালি ও উৎপাদন খাতে এসব শ্রমিক নেয়ার কথা ছিল দেশটির।
কিন্তু দেশে ফেরার পর পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে মানবসম্পদমন্ত্রী জানান, শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে। তবে ১৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক মালেয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ পাবে এ তথ্য সঠিক নয়।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ