ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কাছে গেটওয়েতে আটকে থাকা ৭৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন প্রতারণার শিকার পাঁচ শতাধিক গ্রাহক। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে সোমবার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। রিটে ই-অরেঞ্জের অর্থের উৎস অনুসন্ধানসহ গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের পক্ষে ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম রোববার রিটটি করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন- মোহাম্মদ আফজাল হোসাইন, আরাফাত আলী, তারেকুল আলম, শাকিবুল আলম সোহাগ, রানা খান ও হাবিবুল্লাহ জাহিদ।
এই আইনজীবী জানান, প্রতিষ্ঠার মাত্র দুয়েক বছরের মধ্যে বিভিন্ন অফারের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ই-অরেঞ্জ। বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ই-কমার্স কোম্পানিটি বিপুল অর্থ এরই মধ্যে বিদেশে পাচারও করেছে। ই-ওয়ালেট ও গিফট কার্ডসহ আরও অন্যান্য অননুমোদিত পদ্ধতিতে লেনদেন করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গ্রাহকদের সর্বস্বান্ত করেছে। সরকারি দফতরগুলোর নাকের ডগায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছে। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গ্রাহকরা অনেক চেষ্টা করেও পাওনা টাকা ফেরত না পেয়ে আইনের দ্বারস্থ হন।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কার্যকর নজরদারির অভাবে গত কয়েক বছরে এ প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক আকর্ষণে বিভিন্ন অনৈতিক অফার এবং ডিসকাউন্টের নামে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারও হয়েছে। এ অবস্থায় ই-অরেঞ্জের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্তসহ গ্রাহকের স্বার্থরক্ষায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রিটটি করা হয়েছে।
অন্যদিকে অর্ডারের টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করে গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান।
সানবিডি/এনজে