দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার দেশটিতে পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে গম ও ভুট্টা আবাদে ভর্তুকি দিচ্ছে।এর পরও ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে দেশটিতে খাদ্যশস্য দুটির আবাদ বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা। কারণ বাজারে পর্যাপ্ত উৎপাদন উত্পকরণ নেই, যা আছে তার দামও আকাশচুম্বী। সম্প্রতি মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএসডিএ বলছে, কৃষিপণ্য উৎপাদন উপকরণ ব্যয়, বিশেষ করে সারের দাম গত বছর দ্বিগুণ বাড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারের দাম আরো বেড়েছে। ফলে ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে আবহাওয়ানির্ভর শিল্পটি। ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভুট্টা আবাদ একদমই বাড়বে না। তবে গম আবাদ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউএসডিএর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২২-২৩ মৌসুমে ২৫ লাখ টন ভুট্টা রফতানির মাধ্যমে নিট ভুট্টা রফতানিকারক দেশের তকমা ধরে রাখতে সক্ষম হবে। গম ও গমজাত পণ্য আমদানি ১৭ লাখ টনে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার চাল আমদানি ৩ শতাংশ বাড়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মূলত ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে বেশি চাল আমদানি করা হবে। মৌসুম শেষে আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে ১১ লাখ টনে।
সানবিডি/এনজে