আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বগুড়ায় গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে গম চাষিরা পাকা গম কাটতে ব্যস্ত। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ জমির গম কাটার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গম চাষে ভালো দাম পাওযায় কৃষক খুশি।
জেলায় এবার ২৫০০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও গম চাষ হয়েছে ২৭৫০ হেক্টর জমিতে। গম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে এবার ১০ হাজার কৃষককে প্রণোদনার গম বীজ ও সার দেয়া হয়েছে এমনটি জানালেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক। তিনি জানান, ১ বিঘাতে ২০ কেজি গম বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার ১০ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন এবার গমের ভালো ফলন হয়েছে । গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৫৬২ মেট্রিকটন। তিনি জানান, এবার লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি জমিতে গমের চাষ হওয়ায় ফলন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হবে। গম চাষে খরচ কম হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো পেয়েছে কৃষক। এক বিঘাতে(জমির ভাড়া সহ) গম চাষে খরচ পড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। তবে এবার যাদের নিজের জমি আছে তাদের খরচ পড়ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। এবার বিঘাতে ১৪ থেকে ১৬ মণ পর্যন্ত গম পেয়েছে কৃষক জানিয়েছেন বগুড়ার কৃষি কমৃকর্তা ফরিদ উদ্দিন। মাঠের সম্পূর্ণ গম কাটা হলে বলা যাবে কত টুকু গম উৎপাদন হয়েছে। তবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন লক্ষ্যমাত্রার অধিক গম পাওয়া যাবে।
জেলার ফ্লাওয়ার মিলের এক মালিক তোফাজ্জল হোসেন জানান ,কানাডা ছাড়া রাশিয়া, ইউক্রেন থেকে গম আমদানী করতে পারছেন না আমদানী কারকরা। তাই তাদের দেশের গমের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমাদের দেশের গম খুব ভালো। তারা দেশের শুকনা গম কিনছেন ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে।
বগুড়া সদরের সাবগ্রামের কৃষক আইযুব আলী জানান, তিনি সরকারি প্রণোদনায় গম চাষ করেছেন। এবার তার ফলন ভালো হয়েছে। তার নিজের জমি হওয়ায় লাভ বেশি করেছেন। সে এবার ১২০০ টাকা মণ দরে গম বিক্রি করেছেন। কৃষক আউয়ুবের পরামর্শ হলো কোন কৃষক যেন ভেজা গম যেন বাজারে না আনেন। তাতে দাম কম পাবে কৃষক। সাবগ্রামের কৃষক আইযুব এবার সরকারি প্রণোদনায় সূর্যমুখী ও গম চাষ করেছে দুটোতেই সে ভালো লাভ করেছে। নিজের জমি হওয়ায় তিনি বিঘাতে প্রায় ১২ হাজার টাকা লাখ লাভ করেছেন। গম চাষে খরচ কম তাই লাভও বেশি।গম উৎপাদন খরচ কম এবং ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
এএ