করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের আওতায় এসেছে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি মানুষ। যা টিকা প্রয়োগে টার্গেককৃত জনসংখ্যার প্রায় ৯৭ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার ৮৭১ জন। এছাড়াও দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬১ জন এবং বুস্টার ডোজ টিকা পেয়েছেন এক কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২২৬ জন মানুষ।
এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩০ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৭ লাখ ২২ হাজার ৯৪৬ জনকে। প্রথম ডোজ পাওয়াদের মধ্যে এখনও দ্বিতীয় ডোজ টিকা পায়নি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৪ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৩৭১ জন শিক্ষার্থীকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১ হাজার ৪৯ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এই পর্যন্ত ২ লাখ ১১ হাজার ৯৭৯ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।