পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে উৎখাতে জড়িত থাকার যে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তার ফের খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইমরান খানের অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করে। খবর জিও নিউজের।
এর আগে শুক্রবার ইমরান খান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমি পাকিস্তানে কোনো ‘বিদেশি সরকার’ বসানোকে সহ্য করব না এবং এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটে তবে জনগণের কাছে ফিরে যাব সমর্থনের জন্য।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জানানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে হুমকি দেন। যদি ইমরান খানের গদি রক্ষাও পায় তবে ইসলামাবাদকে গুরুতর পরণতি ভোগ করতে হবে।
মর্কিন কর্মকর্তার ধৃষ্টতার তীব্র সমালোচনা করে ইমরান খান বলেন, ওই কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন যদি ইমরান খানের পতন হয় তবে পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন।
ইমরান খানের অব্যাহত অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রাণলয় ফের পাকিস্তানে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তানের সরকার বদলানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে— ইমরান খান এ অভিযোগ করা শুরুর পর থেকে চতুর্থবারের মতো ওয়াশিংটন এ ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করল।
এর আগে ২৭ মার্চ এক সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান। প্রমাণ হিসেবে তিনি একটি ‘হুমকি বার্তা’ দেখান।
এর পর সর্বশেষ ৮ এপ্রিলে ইমরান খানের ভাষণের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র জেলিনা পোর্টার দেশটির বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পোর্টার বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এ ধরনের অভিযোগের অবশ্যই কোনো সত্যতা নেই। পাকিস্তানে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনের প্রতি সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের।
‘অবশ্যই, আমরা দেশটির ঘটনার প্রতি নজর রাখছি। পাকিস্তানে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনের প্রতি আমাদের সম্মান ও সমর্থন রয়েছে। আবার বলছি, আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়’, যোগ করেন পোর্টার।
সানবিডি/এনজে