মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক ত্রিপল টানিয়ে খোলা আকাশের নিচে ড্রেনের উপর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপনের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান। এ ঘটনায় বাংলাদেশ দূতাবাসও তদন্ত শুরু করেছে।
নিয়োগকর্তার উদাসীনতায় আবাসন ব্যবস্থার অবহেলার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান এর প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত জনাব গোলাম সারোয়ার। রোববার ( ১০ এপ্রিল) দুপুরে এক বার্তায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার।
এর আগে মালয়েশিয়ায় ১০ জন বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক অমানবিক পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে করে দেশ বিদেশে কমিউনিটিসহ প্রবাসীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির তামান মেলাবতী নামক এলাকায় বাংলাদেশী কিছু শ্রমিক রয়েছেন যারা নির্মাণ খাতে কাজ করেন। তারা গত ৩ মাস ধরে অত্যন্ত মানবেতর পরিবেশে বসবাস করছেন। এমনকি সেখানে একটি রাস্তার পাশে ড্রেনের উপর শুধুমাত্র ফাইবারের ত্রিপল টানিয়ে বসবাস করতে হয়েছে। এখানে টয়লেট ও গোসলের জন্য কোনো নিরাপদ সু ব্যবস্থা ছিলো না। এখানে আধুনিক মালয়েশিয়ার কোনো সুবিধা তারা পাননি। ছিলো না বিশুদ্ধ পানি সরবারাহ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ঐ শ্রমিকদের নিয়োগকর্তাকে বার বার তাদের সমস্যার কথা বলা হলেও বিভিন্ন অজুহাত তুলে কর্ণপাত করেনি। তবে ঐ বাংলাদেশি শ্রমিকদের নাম ও তাদের নিয়োগকর্তার নাম ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি।
এ ঘটনায় তামান মেলাবতী এলাকার রেসিডেন্ট এসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান আজহারি আবদূল তাহারিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের নজরদারির মধ্যেও এই অমানবিক পরিবেশে শ্রমিকদেরকে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা কেমন করে মাসের পর মাস এই অমানবিক পরিবেশে রাখতে পারে? এটা নিশ্চয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা। তিনি আরো বলেন, এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তাই সরকারের উচিত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা।
এএ