দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণগ্রহণ কমেছে সরকারের। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ ছিল ১৮ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণ এবং রাজস্ব আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ কমেছে বলে জানান সংশ্নিষ্টরা।
এ বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি বিদেশি ঋণ এসেছে ৫৭৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩৬৩ কোটি ডলার। এর মানে প্রথম আট মাসে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৫৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। বিদেশি ঋণ ও রাজস্ব আয় বাড়লেও সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি তেমন বাড়েনি। যে কারণে বাজেট বাস্তবায়নে ব্যাংক ঋণের চাহিদা কম।
চলতি অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত নিট ঋণের সঙ্গে আগের ঋণ যোগ করে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণস্থিতি দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল দুই লাখ ২০ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। এর মানে গত তিন মাসে কমেছে ১০ হাজার ৪১২ কোটি টাকা।
ব্যাংকের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র থেকেও সরকারের ঋণ কমছে। চলতি গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ১৪ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২৯ হাজার ৩১১ কোটি টাকা।
সানবিডি/এনজে