জিয়াউদ্দিন ওরফে জামান প্রতারণা করে অর্থ আত্নসাৎ করে বিদেশে অন্তত ৬০ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চীন, দুবাই ও ওমানে তিনি এসব অর্থ পাচার করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
এ সময় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক জানান, জিয়াউদ্দিন চীন ও দুবাইতে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছেন। আর ওমানে অর্থ পাচার করেছেন এস কর্পোরেশনের মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জিয়াউদ্দিন নিজেই।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে জিয়াউদ্দিনের নিজের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৩৯টি। তার বিদেশে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তিনটি। আর তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৭০টি অ্যাকাউন্ট থাকার তথ্য জানতে পেরেছে র্যাব।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জিয়াউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে ২০টি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার জিয়াউদ্দিনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মুখপাত্র। তিনি জানান, জিয়াউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানুষের করা প্রতারণার অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার সঙ্গে আর কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান জড়িত কিনা তাও খতিওয় দেখা হচ্ছে।
এর আগে প্রতারণা করে সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অভিযোগে জিয়াউদ্দিন ওরফে জামানকে সোমবার রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সানবিডি/এনজে