পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় ও ভোগান্তি কমাতে এবার রাজধানীর পাঁচটি স্টেশনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। তবে টিকিট কেনার সময় যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি কাউন্টারে দেখাতে হবে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রেল ভবনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময়সূচি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট বিক্রি নির্ধারিত দিনে (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শুরু হবে। কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। যেসব স্টেশনে টিকিট বিক্রি করা হবে, তার সবগুলোতে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক কাউন্টার থাকবে। প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে শুধু নারী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে স্বতন্ত্র কোচ সংযোজন করা হবে।’
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির পর আর ফেরত নেওয়া হবে না। স্পেশাল ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধু স্টেশন কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।’
অগ্রিম টিকিট বিক্রি ও ব্যবস্থাপনার জন্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীর চাপ কমাতে ঢাকা শহরের পাঁচটি কেন্দ্র থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘কমলাপুরে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেন, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশনে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে।
এছাড়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন, ফুলবাড়ীয়া পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।’
নূরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদে কমলাপুর রেলস্টেশনে অগ্রিম টিকিট কেনা নিয়ে অনেক ভিড় হয়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাদের কথা বিবেচনা করে রাজধানীর পাঁচটি স্টেশনে টিকিট বিক্রি করা হবে, যার মধ্যে অর্ধেক টিকিট কাউন্টার এবং অর্ধেক টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে।’