রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থের বড় একটি অংশ উদ্ধারে নিউইয়র্কের আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলা খারিজ হয়ে গেছে বলে ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তবে প্রকাশিত ওই খবরটি সত্যি নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ব্যাপারে বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফিলিপাইনের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটি সত্য নয়। রিজার্ভ চুরির মামলা খারিজ হয়নি।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানকে (ব্লুমবেরি রিসোর্টকর্প ও ইস্টার্ন হাইওয়ে) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এখনও আমাদের আইনজীবীরা আশা করছেন রিজার্ভ চুরির মামলার রায় বাংলাদেশের পক্ষেই আসবে।
ফিলিপাইনের এনকোয়ারার ও ফিলস্টার পত্রিকা দাবি করেছে ‘পর্যাপ্ত এখতিয়ার নেই’ বলে তিন বছর আগে করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এ মামলা খারিজ করে দিয়েছে নিউইয়র্কের সুপ্রিমকোর্ট।
নিউইয়র্কের আদালত গত ৮ এপ্রিল এ রায় দেয় বলে ব্লুমবেরি রিসোর্টকর্প সোমবার ফিলিপাইন স্টক এক্সচেঞ্জকে (পিএসই) অবহিত করে। সেখানে ‘পর্যাপ্ত এখতিয়ারের অভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা বাতিল করে দিয়েছে নিউইয়র্কের আদালত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ডলার উদ্ধার হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
চুরির ঘটনার তিন বছর পর ২০১৯ সালে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি), দেশটির ক্যাসিনোসহ ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং তিন চীনা নাগরিককে আসামি করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ।
এএ