বসন্তের রোগ প্রতিরোধের খাবার-দাবার

প্রকাশ: ২০১৬-০২-২০ ১৬:০৭:৪৯


raw-mushroomঋতু যায় ঋতু আসে। ঋতু ভেদে কমে বাড়ে রোদ-হাওয়ার তেজ। বাতাসে ঘুরে বেড়ানো রোগের জীবানুরা আবহাওয়া বুঝে সক্রিয় হয়। কয়েক মাসের টানা শীতের পরে আবার গরম পড়তে শুরু করেছে। বসন্ত এসে গেছে। গাছে গাছে নতুন কচি পাতা, পাতার ফাঁকে উঁকি দেওয়া প্রজাপতির মতো ফুল।

তবে প্রকৃতি এই অপরূপ রূপে সাজলেও এই সময়টাতে মুক্ত প্রকৃতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে বসন্ত, ফ্লু, জণ্ডিসের ভাইরাস। গরমে ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণও হতে পারে।

এই অবস্থায় সামান্য খামখেয়ালিতে অসুস্থ  হয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। তবে নিজের খাদ্য তালিকায় নজর রাখলে প্রতিরোধ সম্ভব ওইসব জীবানুদের।

আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বসন্তে ভালো থাকার জন্য কী খাবার খেতে হবে…

ইয়োগার্ট

ইয়োগার্টের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অসাধারণ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতি দিনের ডায়েটে অন্তত সাত আউন্স ইয়োগার্ট থাকা উচিৎ। খাবারের সঙ্গে, ফলের সঙ্গে যে কোনও ভাবেই খাওয়া যায় ইয়োগার্ট।

ওটস ও বার্লি

ওটস বা বার্লির মধ্যে রয়েছে বিটা-গ্লুকান ফাইবার। যা শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জা, হারপিস, অ্যানথ্রাক্স ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। ক্ষত সারাতে অনেক অ্যান্টিবায়োটিকের থেকে ভালো কাজ করে ওটস বা বার্লি।

রসুন

রসুনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কথা অনেকেরই জানা। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন। প্রতি দিন রসুন খেলে ঠাণ্ডা লাগার ঝুঁকি অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়। কোল্যাটারাল ক্যান্সার, স্টমাক ক্যান্সার রুখতেও উপকারী রসুন।

সামুদ্রিক মাছ

ইলিশ, স্যালমন, ম্যাকরেল, চিংড়ি, কাঁকড়া, ওয়েস্টারের মধ্যে রয়েছে সেলেনিয়াম ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ফুসফুসে সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে।

চিকেন সুপ

ব্রঙ্কাস ইনফেকশন রুখতে সাহায্য করে চিকেন সুপ। অ্যামাইনো অ্যাসিড সিস্টেন ভাইরাসের সংক্রমণ দূরে রেখে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চিকেন সুপে মেশান পেঁয়াজ, রসুন। শীতে প্রতি দিন এই সুপ খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

চা

চিকিৎকরা জানাচ্ছেন প্রতি দিন পাঁচ কাপ করে ব্ল্যাক টি টানা দু’সপ্তাহ ধরে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ১০ গুণ বৃদ্ধি পায়। ব্ল্যাক টি-র মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এল-থিয়ানিন অ্যামাইনো অ্যাসিড যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

রেড মিট

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসার অন্যতম প্রধান কারণ শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি। রেড মিটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। যা রক্তে শ্বেতরক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রুখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

লাল আলু

সংক্রমণের অন্যতম পথ কিন্তু ত্বক। যা অনেক সময়ই উপেক্ষা করে থাকি। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রুখতে ত্বকের প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ। বিটা ক্যারোটিন যুক্ত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। রাঙা আলু ভিটামিন এ-র উত্কৃষ্টতম উৎস। বসন্তের ডায়েটে তাই রাখুন লাল আলু।

মাশরুম

রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকা বাড়াতে দারুণ উপকারী মাশরুম। এই খাবার হালকা ও সহজপাচ্যও। বসন্তে প্রতিদিনের ডায়েটে মাশরুম সুপ রাখতেই পারেন।