বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এককথায় আমরা বলে থাকি বাঘ। পৃথিবীর ম্যানগ্রোভ বন বলে খ্যাত সুন্দরবন বাঘের আবাসস্থল। এক সময় বাঘের সংখ্যা অনেক থাকলেও বর্তমানে বিলুপ্তের পর্যায়ে চলে এসেছে প্রাণীটি। ২০১০ সালে যেখানে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিলো ৪০০টিরও অধিক সেখানে ২০১৬ সালে বাঘের সংখ্যা এসে দাড়িয়েছে মাত্র ১০৬টি।
ঠিক এই মুহূর্তে বাঘ রক্ষায় “বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ সুরক্ষা করবো” এই স্লোগানকে সামনে রেখে উইএসএইড হাতে নিয়েছে ‘বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ নামে জনসচেতনামূলক প্রচারণা। একদল সেচ্ছাকর্মীর অংশগ্রহণে দেশের ৫০টি জেলায় চার মাসব্যাপি চলবে এই প্রচারণা। আজ বিকেলে তাদের দেখা মিললো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে বটতলায়। প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয় ১১ই ফেব্রুয়ারি।
বাঘের আদলে তৈরি ভ্রাম্যমান বাসের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুন্দরবনের দৃশ্য। পালাকার নাট্যকলার সদস্যদের পরিবেশনায় মঞ্চায়ন করা হয় জনসচেতনামূলক নাটক। নেয়া হচ্ছে বাঘ রক্ষায় বিভিন্নজনের মতামত।
বাঘের সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ার কারণ কি এমন প্রশ্নের জবাবে সেচ্ছাসেবকদলের সদস্য এনামুল হুদা সানবিডিকে বলেন, নির্বিচারে বাঘ হত্যা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করার ফলেই কমে যাচ্ছে বাঘের সংখ্যা। তিনি আরো বলেন, বাঘের প্রিয় খাবার হরিণ এবং কাঁকড়া। সুন্দরবনের আশেপাশের মানুষ হরিণ শিকার করে মাংস বিক্রি করে। ফলে বাঘ খাদ্য সংকটে মাঝেমধ্যে লোকালয়ে প্রবেশ করে, তখন লোকজন পিটিয়ে বাঘ হত্যা করে।
তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, বাড়িতে ডাকাত পড়লেও ভাইয়ের ডাকে ভাই সাড়া দেয় না কিন্তু বাঘ বাঘ বলে চিৎকার করলে সবাই ছুটে আসে বাঘ মারার জন্য। তিনি আরো বলেন, বাঘ আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাই বাঘ হত্যা না করে বাঘ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো