স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উত্তরণের পর পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে না। এতে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। রপ্তানি বাড়াতে কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকিও কমাতে হবে। এ রকম আরও কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৭ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত এক কর্মশালায় সরকারপ্রধানের এ নির্শেনার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক জাতীয় এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন অংশীজনের মতামত জানতে এ কর্মশালার আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশি দক্ষ জনশক্তির ওপর নির্ভর করলে চলবে না। আমাদের কাজ আমাদের দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। যোগ্য ও দক্ষ মানুষকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করতে হবে জনশক্তি। আমাদের সক্ষমতা অর্জনের বিকল্প নেই, সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হতে হবে এলডিসি’র চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়।
তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে সরকার আনন্দিত আবার চিন্তিত। কি প্রস্তুতি নেওয়া যায় সে বিষয়ে সরকার সিরিয়াস। মন্ত্রীর ভাষায়, 'সিরিয়াসলি নেমে যেতে হবে এখনই। না হলে ২০২৬ সালের পর কি হবে বলা যায় না। হঠাৎ আসা চাপ সইতে পারবো না।'
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে নিয়ে বলেছেন, পিটিএ এফটিএ না হলে বিপদে পড়তে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কি করছে তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এএ