পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন এবং বিনিয়োগ করতে রাষ্ট্রয়ত্ব ৪ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্য থেকে ব্যাংক চারটিকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বিএসইসির উপ-পরিচালক মুহাম্মদ ওয়ারিসুল হাসান রিফাত সাক্ষরিত এই চিঠি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। ব্যাংকগুলো হল- সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংক।
একইসঙ্গে ব্যাংক চারটিকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অবস্থান জানানোর জন্যও চিঠিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে বর্তমানে অধিকাংশই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। বাজারে প্রায় ৮০ শতাংশ তাদের অংশগ্রহন। কিন্তু পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা বেশি হওয়া উচিত।
এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। যা বিনিয়োগ সীমার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হবে না। এছাড়া ব্যাংকিং কোম্পানিজ আইনে প্রতিটি ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এই মূলধনের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, স্ট্যাচুরি রিজার্ভ ও রিটেইন আর্নিংস অন্তর্ভূক্ত।
এর আগে গত ২৩ মার্চ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ৬১টি ব্যাংককে বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্য থেকে বিনিয়োগ করার জন্য চিঠি দেয় বিএসইসি। ওই চিঠিতে বিএসইসি বলে, অনেক ব্যাংক বিনিয়োগ সীমা ও ২০০ কোটির বিশেষ তহবিলের থেকে অনেক কম বিনিয়োগ করেছে।
এছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ২০০ কোটির বিশেষ তহবিল গঠনই করেনি। এই পরিস্থিতিতে ৩৩ ব্যাংককে বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ী ও বিশেষ তহবিল থেকে বিনিয়োগের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশেষ তহবিল গঠন না করা ২৮ ব্যাংককে তহবিল গঠন করে বিনিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
এএ