চলতি বছর ১০ লাখ কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে এক লাখ কর্মী বিদেশে গমন করছে। যার মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ হাজার কর্মী সৌদি আরব যাচ্ছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইমরান আহমেদ বলেন, গত দুই মাসে ১ লাখ ৭০ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে ঢাকায় সৌদি দূতাবাস। প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে দেশটি। কর্মীদের প্রশিক্ষণের যে গতিতে আমরা ছিলাম, করোনা এসে তাতে বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠাতে এখন আমরা দক্ষতার উপর জোর দিচ্ছি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশ ডেপুটি চিফ অফ মিশন ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালী বলেন, বিশেষ করে রেমিট্যান্স প্রবাহটা যেমন আমরা দেখছি, একইভাবে বাংলাদেশের অভিবাসন ক্ষেত্রটাকেও দেখতে হবে।
আইএলওর প্রতিনিধি লেটেশিয়া ওয়েবেল বলেন, শ্রমিকদের জন্য নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে যাতে করে তারা তাদের পূর্ণ দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে।
এসময় অন্যান্য স্টকহোল্ডাররা তাদের বক্তব্যে অভিবাসন খাতে আরো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা মালয়েশিয়া ও লিবিয়ার শ্রমবাজারে পুনরায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণের উপর জোর দেন।
এছাড়া রোমানিয়ার শ্রমবাজার নিয়েও তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
মত বিনিময় সভায় আরো অংশ নেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রধান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা।
এএ