ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি বন্ধের ঘোষণায় আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিশ্বজুড়ে পাম অয়েলের বিকল্প অন্যান্য তেলের সরবরাহ এমনিতেই অপ্রতুল। তার ওপর ইন্দোনেশিয়ার এ সিদ্ধান্তে সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষ সূর্যমুখী তেল উৎপাদক ও রফতানিকারক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া দেশটিতে হামলা চালালে দেশটির সব ধরনের পণ্য রফতানিই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। কমতে থাকে সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ।
অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ সয়াবিন তেল সরবরাহকারী দেশ আর্জেন্টিনা। দেশটিতে খরার কারণে সয়াবিন তেলের উৎপাদন ভালো হয়নি। এতে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলটির দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী।
শিল্পসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত বছর করোনা মহামারীর বিধিনিষেধ শিথিল হতে শুরু করলে খাদ্য ও বায়োডিজেল হিসেবে বাড়তে শুরু করে ভোজ্যতেলের চাহিদা। মূলত তার পরই বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের সংকট বাড়তে শুরু করে।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তেলবীজ মাড়াইকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। করোনার কারণে অন্তত এক বছরের বেশি সময় এসব প্রতিষ্ঠানে মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
তথ্য বলছে, শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে প্রতি পাউন্ড সয়াবিন তেলের দাম ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে পাউন্ডপ্রতি ৮৩ দশমিক ২১ সেন্টে উন্নীত হয়েছে, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
২৮ এপ্রিল থেকে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি বন্ধের ঘোষণা কার্যকর হবে। দেশটির এ সিদ্ধান্তে খাদ্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
সানবিডি/এনজে