বর্তমানে অর্থ লেনদেনের বহুল পরিচিত মাধ্যম হলো চেক। ব্যবসা-বাণিজ্য,কোম্পানি কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে চেকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা হয়ে থাকে। তবে প্রায়ই চেক ডিজঅনার বা প্রত্যাখ্যাত হতে দেখা যায়। প্রতিকার পেতে নিম্ন আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।
আদালতের কার্য তালিকায় কোনদিন এ সংক্রান্ত ছয় থেকে সাতশ মামলা শুনানির জন্য ধার্য থাকে। মামলা বেশি হওয়ায় দীর্ঘ সময় পর শুনানির তারিখ পরে।
জানা যায়, ছয় থেকে নয় মাস পরপর চেক ডিজঅনার মামলার শুনানি পরে নিম্ন আদালতে। ফলে,মামলা নিষ্পত্তিতে সময় লাগেছে পাঁচ থেকে ছয় বছর।
এদিকে ভোগান্তি কমাতে চেক ডিজঅনার মামলার শুনানির ক্ষমতা একাধিক আদালতকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা।
এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম নামে একজন ভুক্তভোগি বলেন, ২০১৭ সালে আমার একটি চেকের মামলা করি। আজকে প্রায় পাঁচ ছয় বছর আমি কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় গুরছি। মামলাটি নিয়ে এখন আমি হতাশ। কারণ পাঁচ মাস ছয় মাস পরপর একটা তারিখ পরে।
তিনি বলেন, এ মামলাগুলো কোন অবস্থাতেই তিন চারটা তারিখের বেশি ঘুরা উচিত না। আমার টাকা আটকা পরে আছে সেখানে আমি লুজার হচ্ছি। কোর্টের পিছনে আমাকে দৌড়াতে হচ্ছে সেখানে আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি।
নিম্ন আদালতে আইনি জটিলতায় পরা ভুক্তভোগীরা বলছেন, ক্ষতি পোষাতে তাদের দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি দরকার।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, চেকের মামলা তিন কথায় শেষ হয়ে যাওয়ার মামলা। এগুলো শেষ করতে বেশি বেশি কোর্ট দিতে হবে। এবং বিভিন্ন কোর্টকে চেকের মামলা ট্রায়াল করার ক্ষমতা দিতে হবে।
তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় এবং আইনমন্ত্রী চাইলে সহজেই এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
২০২০ সালের হাইকোর্টের দেয়া রায় অনুযায়ী চেক ডিজঅনার মামলার বিচারের এখতিয়ার রয়েছে কেবল যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের।
এএ