চট্টগ্রাম বন্দরে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-১০-০৬ ২১:১৩:৩০


২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল খালাস শেষে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে গেছে এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ নামের একটি জাহাজ। চারদিনে এসব তেল খালাস শেষে মঙ্গলবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। মঙ্গলবার (৩ মে) চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটিতে পাঁচটি ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানি এ বিপুল তেল আমদানি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল নিয়ে এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করে। বন্দরে নোঙ্গরের পর পুরোদমে তেল খালাস শুরু করে জাহাজটি। আজ পুরোপুরি তেল খালাস শেষে বন্দর থেকে নোঙ্গর তুলেছে জাহাজটি।

এই সয়াবিন তেল আমদানি করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড ও সেনা কল্যাণ এডিবল অয়েল লিমিটেড।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, জাহাজটি আমদানি করা সয়াবিন তেল খালাস শেষে বন্দর ত্যাগ করেছে।

আমদানিকৃত তেল পতেঙ্গা এলাকায় কাস্টমস বন্ডেন্ড ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হয়েছে। শুল্ককর পরিশোধের পর ট্যাংক টার্মিনাল থেকে খালাস করে কারখানায় নিয়ে পরিশোধন করবে কোম্পানিগুলো। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় কারখানাগুলো নিয়মিতই এখন ট্যাংক টার্মিনাল থেকে খালাস করে কারখানায় নিয়ে পরিশোধন করছে।

দেশে অপরিশোধিত আকারে সয়াবিন তেল আমদানি হয়। আবার আমদানি করা বীজ মাড়াই করে সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। গত অর্থবছরের হিসাবে, অপরিশোধিত আকারে প্রতি মাসে গড়ে আমদানি হয় ৬৫ হাজার টন। এ হিসাবে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল দিয়ে অন্তত ১০ দিনের চাহিদা পূরণ সম্ভব।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দামে অস্থিরতা শুরু হয়। আর্জেন্টিনা রপ্তানি সীমিত করার ঘোষণা এবং ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর দাম বাড়ার নতুন নতুন রেকর্ড হয়। দেশেও দাম না পেয়ে আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। আবার ঈদের পরে দাম বাড়বে, এমন চিন্তা থেকে মজুতের প্রবণতাও শুরু হয়। তাতে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়।

এএ