জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটসের নবীনদের বরণ করে নেয়ার মহোৎসব নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০১৬। গত সোমবার গাজীপুরের নন্দন পার্কে বরাবরের মত এবারও ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটসের চারটি প্রতিষ্ঠানের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করে নেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক, পরিচালক (প্রশাসন) তানজিনা খান, পরিচালক (টাঙ্গাইল ও ঘাটাইল ম্যাটস) রফিকুল বারী, ঢাকা আইএইচটির সহকারী অধ্যাপক (অবঃ) ডা. কামাল আহমেদ, সরকারী টাঙ্গাইল ম্যাটসের অধ্যক্ষ (অবঃ) ডা. মালেকা বানু, ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটসের সকল প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষবৃন্দসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষনগুলোর মধ্যে ছিলো কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সাফল্য স্বীকৃতি প্রদান, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, লটারী ড্র ইত্যাদি। সকাল সাড়ে নয়টায় নন্দন পার্কের পার্কিং স্পটে আসতে থাকে ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটসের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, অতিথি ও ষ্টাফদের বহনকারী রিজার্ভ গাড়ীগুলো। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো পার্কিং প্লেসটির কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ট্রমার ব্যানারযুক্ত গাড়ীতে।
কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল কাযক্রম। নবীনদেরকে স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ করতে চলতে থাকে পরিচয় পর্ব। এ পর্বে নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উপদেশ ও উৎসাহমূলক বক্তব্য রাখেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। তবে শুভেচ্ছা বাণী প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (প্রশাসন) তানজিনা খান।
প্রতিষ্ঠানের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় উদ্দীপিত্ব করতে প্রতিবছরই তাদেরকে সাফল্য স্বীকৃতি বা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে । মধ্যপর্ব পরীক্ষায় যেসকল ছাত্র-ছাত্রী ১ম, ২য় , ৩য় স্থান অধিকার করে এবং সর্বাধিক উপস্থিতি থাকে সেসকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মোট ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
সাফল্য স্বীকৃতি প্রদানের পর মধ্যাহ্নভোজের পালা চলতে থাকে। মধ্যাহ্নভোজের পরই শুরু হয় কাঙ্খিত সেই চোখ ধাধানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত চলে গানের পর্ব। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বিভিন্ন রঙের আলোকরশ্মিতে সাজতে থাকে অনুষ্ঠান মঞ্চ। চোখ ঝলসানো আলোকসজ্জা ও মনমুদ্ধকর গানের তালে তালে নাচতে থাকে নৃত্যশিল্পীরা।
উল্লেখ্য, পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পারফর্মার হিসেবে ছিল ট্রমার প্রতিভাবান একঝাক ছাত্র-ছাত্রীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সবাই নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে ছুটতে থাকেন।
বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত জাকজমকভাবে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া কাভারেজের জন্য বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক, অনলাইন ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস