ভৌগলিক কারণে দেশে প্রথম আম পাকে সাতক্ষীরায়। তাই মৌসুমের প্রথম আম পেতে ফল প্রেমিদের কাছে সাতক্ষীরা আমের চাহিদা বেশি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর রপ্তানিও হয় সাতক্ষীরা জেলার আম।
এ বছর জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী সেই আম বাজারে আসবে আগামীকাল ৫ মে। আম পাড়া আর বিক্রির শেষ প্রস্ততি নিচ্ছেন চাষীরা। ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ কয়েক প্রজাতির আম পাড়ার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার আয়োজনে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা হয় বুধবার। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের ঐ মতবিনিময় সভায় আমের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাজারজাতের তারিখও নির্ধারণ হয় সেখানে। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম।
কৃষি বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনের পরামর্শে আগামী ৫ মে গোবিন্দভোগ গোপালভোগ, বোম্বাই, ক্ষীরশাপাতি, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ অন্য জাতের আম পাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। ১৬ মে হিমসাগর, ২৪ মে ল্যাংড়া ও ১ জুন তারিখে আম্রপালি আম পেড়ে বাজারে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে যদি কোন ব্যবসায়ী বা চাষী অপরিপক্ক আম পাড়ে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, এবছর সারাদেশ থেকে ৬০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে। শুধু সাতক্ষীরা থেকে যাবে একশ মেট্রিক টন আম। আর এসবে রপ্তানির কাজে নিরাপদ আম বিদেশে পাঠাতে বছরজুড়ে চাষীদের নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি মন্ডল জানান, এ বছরও শতভাগ রাসায়নিকমুক্তি আম উৎপন্ন করা হয়েছে সাতক্ষীরাতে। বেশ কিছু বাগানকে টার্গেট করে প্রতি বছর চাষীদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে বিদেশে রপ্তানীযোগ্য আম উৎপন্ন করা সম্ভব হয়।
এএ