চলমান বৈশাখের বৃষ্টি বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেক কৃষকের অস্বস্তি ও শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও ৭০ শতাংশ বোরো ধান কৃষকের জমিতে, যার অধিকাংশই কাটার উপযোগী। বরেন্দ্র অঞ্চলজুড়ে কৃষকরা ধান ধাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মধ্যেই বৃষ্টির বাগড়া। তুলনামূলক নিচু জমি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল—এমন জমির ধান কাটতে শ্রমিকরা অনীহা প্রকাশ করছেন। বেশি ধানের বিনিময়েও জমির ধান কাটতে যাচ্ছেন না তারা। এতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
এবার রাজশাহীতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৬ হাজার ১৪০ হেক্টর। এর মধ্যে উফশি জাতের ৫৯ হাজার ৬৪০ হেক্টর এবং হাইব্রিড ছয় হাজার ৫০০ হেক্টর, যা গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৭৩২ হেক্টর। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদের পরিমাণ বেশি হওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে আবাদি জমির পরিমাণ। জেলায় এ বছর ৬৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এবার প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৩৪ মেট্রিক টন। মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫২ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন।
চাষিরা বলছেন, এবারের আবহওয়া বোরো ধানের জন্য খুব একটা ভালো না হলেও খারাপ ছিল না। কিন্তু শেষ সময়ে বৃষ্টির বাগড়া। ঝড়-বৃষ্টিসহ কিছু কিছু জায়গায় শিলাও পড়েছে। প্রায় সব জমির ধানই শেষ সময়ে এসে পড়ে গেছে। নিচু জমির অনেক ধান কাটার উপযোগী হলেও পানির কারণে কাটা সম্ভব হচ্ছে না। আবার যাদের জমি খুবই নিচুতে কিংবা খালে ধান লাগানো ছিল-এমন ধানের শুধু শীষটা কৃষক কেটে নিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) তৌফিকুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কৃষকরা প্রায় ৩০ শতাংশ ধান কাটতে পেরেছেন। আর ঝড়ো বাতাসে ধান গাছ পড়ে গিয়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা। বৃষ্টির কারণেও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে সেটা খুব বেশি না। এটা বলা যায় যে, কৃষকদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
সানবিডি/এনজে