টানা বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ফসলের মাঠগুলোতে পানি জমে পাকা ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন কৃষকরা। তাই ফসল রক্ষায় অতিরিক্ত টাকা বা ধানের অর্ধেক ভাগ দিয়েও এই বৃষ্টিতে মিলছে না শ্রমিক। ফলে ক্ষেতেই পঁচে যাচ্ছে ধান। এতে করে ডুবে যাওয়া ধান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা।
কৃষকরা জানিয়েছেণ, চলতি বছর এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বর্তমানে শ্রমিক খরচ আরও প্রায় সাত হাজার টাকা বেড়ে ৯ হাজারে ঠেকেছে। অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ-কালভাট খাল ও নালা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশন হয় না বলে অভিযোগ করেন তারা। তাই বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের বাধাগ্রস্ত হয়। এতে করে প্রতিবছর ফসলি মাঠগুলো ডুবে কৃষকের সর্বনাশ হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৩১৫ হেক্টর। কিন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জিত হয়েছে ২২ হাজার ৩৬০ হেক্টর
তিনি আরও বলেন, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীসহ সকল স্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের নানা দিক নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু বর্তমানে শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা একটু সমস্যায় পড়েছেন।
সানবিডি/এনজে