বাংলাদেশে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের চাহিদা মেটাতে নতুন ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ভোলায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক আবাদ হয়েছে বিলুপ্ত ‘বারি চীনা-১’। দানা জাতীয় ফসলটি দেখতে অনেকটা ধানের মতো।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ বছর আগে ফসলটি আবাদ হলেও, পরে তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই ফসল ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভোলায় পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করা হয়। পরীক্ষামূলক আবাদেই সফলতা দেখতে পেয়েছেন কৃষি বিভাগের গবেষকরা। ১৫টি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দানাদার এই খাদ্য ফসলটি প্রথম আবাদে কৃষকদেরও আগ্রহ বেড়েছে। আগামীতে ব্যাপক পরিসরে আবাদের কথা ভাবছে কৃষি বিভাগ।
এ বিষয়ে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাসান ওয়ারেসুল কবির জানান, এক সময় গ্রাম-বাংলার মাঠে-ঘাটে বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে চীনা ফসলের আবাদ করতেন কৃষকরা। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সেই ফসল তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। শস্যের দাম বৃদ্ধি, কৃষকদের সচেতনতার অভাব ও স্থানীয়ভাবে পরিচিতি না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে বিলুপ্ত হয়ে যায় ফসলটি। সেই ফসল সংরক্ষণ ও ধরে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে দেশের কোন জেলায় ফসলটি আবাদে উপযোগী, সেটা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। এক পর্যায়ে ভোলা ও নোয়াখালীতে পরীক্ষামূলক ফসলটির আবাদে কৃষকদের উৎসাহী করলেও, শুধু ভোলাতেই সফলতা পেয়েছে কৃষি বিভাগ। এখানকার আবহাওয়া উপযোগী থাকায় এ বছরের শুরুর দিকে পরীক্ষামূলক আবাদ করা হয়।
সানবিডি/এনজে