সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুই দেশের বিরাজমান সম্পর্ক এবং অংশীদারত্বকে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ দুটির জনগণের কল্যাণে আরও সুসংহত করা হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
রোববার দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অভিনন্দন বার্তায় আরব আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এবং নিজের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন ‘এই পদে আপনাকে নির্বাচিত করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিল এবং দেশের জনগণ আপনার দক্ষ নেতৃত্ব এবং প্রজ্ঞার প্রতি তাদের আত্মবিশ্বাস ও আস্থা রেখেছে।’
দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুর পরের দিন শনিবারই শেখ মোহামেদ বিন আল জায়েদকে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়।
শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আরব বিশ্বে শক্তিশালী শাসক এবং ‘এমবিজেড’ নামে পরিচিত। তিনি এতদিন পর্দার আড়ালেই ছিলেন। তার স্বাস্থ্যের ভঙ্গুর অবস্থার জন্য তাকে পাশ কাটিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তার সৎভাই সদ্য প্রয়াত খালিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
অভিনন্দন বার্তায় ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ‘সময়-পরীক্ষিত বন্ধুত্ব’ গড়ে তুলেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৪ সালের ১০ মার্চ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রথম উপসাগরীয় দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত। যা মধ্যপ্রাচ্যের ভ্রাতৃপ্রতিম আরব দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি অর্জনের পথ প্রশস্ত করার পাশাপাশি ওই অঞ্চলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। অভিনন্দন বার্তায় কৃতজ্ঞচিত্তে বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে বলছি, আমাদের দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আজ সামরিক, মানবসম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতায় উচ্চ স্বাক্ষর রেখেছে।’
দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক এবং অংশীদারত্বকে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের কল্যাণে আরও সুসংহত করা হবে। আর তাই শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
চিঠির শেষ ভাগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্টের সুস্বাস্থ্য এবং একটি উত্পাদনশীল মেয়াদ কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের শান্তি, অগ্রগতি এবং অব্যাহত সমৃদ্ধিও কামনা করেন তিনি।
এএ