দেশে প্রবাসী আয় সুবাতাস নিয়ে এলেও কমেছে জনশক্তি রফতানি। গত মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে অন্তত ২০ হাজার জন কম কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন। এ মাসে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য হারে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমেছে। তবে কুয়েত, কাতারের মতো যে সব দেশে গত কয়েক মাস ধরে কর্মী পাঠানোর হার বেশ কম ছিল সেগুলোতে বেড়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার খোলার বিষয়েও নতুন কোনো খবর নেই। সুখবর নেই নতুন শ্রমবাজার খোঁজার বিষয়েও। তবে সৌদি আরবের শ্রমবাজার আরও সম্প্রসারণ করতে দেশটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া- ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বের বাজারেই একটা টালমাটাল অবস্থা চলছে। যার কম বেশি প্রভাব সব ক্ষেত্রেই পড়েছে।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী— এপ্রিল মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৯৭৫ জন কর্মী। যা গত মার্চে গেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৬ জন। এপ্রিল মাসে সৌদি আরবে ৬২ হাজার ৫২৭ জন, যা মার্চে ছিলো ৭৮ হাজার ৮৭০ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১১ হাজার ৭০৪ জন যা মার্চে ছিলো ১২ হাজার ৩৫৭ জন, কুয়েতে ১ হাজার ২০১ জন যা মার্চে ছিল ৭২৭ জন, ওমানে ১৫ হাজার ২১৩ জন যা মার্চে গেছে ১৪ হাজার ৩৮৯ জন, কাতারে ১ হাজার ৭৪৫ জন যা মার্চে ছিল ১৬৩১ জন, লেবাননে গেছে ৭৫ জন গত মার্চে গেল ৪৬ জন, জর্ডানে ১৬৩৭ জন যা মার্চে ছিল ১৯৯০ জন, লিবিয়াতে গেছে ৭ জন, সুদানে ১৬ জন মার্চে গেছে ২৩ জন, মালয়েশিয়ায় গেছে ৩৯ জন এর আগের মাসে গেছে ১২ জন, সিঙ্গাপুরে গেছে ৫ হাজার ২৪২ জন আর মার্চে গেছে ৬ হাজার ৬৯৭ জন, সাউথ কোরিয়ায় ৬৭১ জন মার্চে গেছে ৩৫২ জন, লন্ডনে গেছেন ৩৫ জন আর মার্চে গেছেন ২৬ জন, ইতালিতে ১১৮ জন মার্চে গেছে ১১০ জন, জাপানে ৮৪ জন মার্চে গেছেন ৯ জন, ব্রুনাইয়ে জন আগের মাসেও ৫ জন, মরিশাসে ৩৬৪ জন আগের মাসে ২১১ জন, ইরাকে ১ জন আগের মাসে গেলো ১১ জন। আর অন্যান্য দেশে এপ্রিলে গেছেন ১৫৬১ জন যদিও গত মার্চে গেছে ১০৮৩ জন কর্মী।
সানবিডি/এনজে