সিরিয়াতে সরকারবিরোধীদের সহায়তার জন্য বিমান থেকে অস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী। মার্কিন সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর পেন্টাগন থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে নয়; সিরিয়াতে অবস্থানরত মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যদের দমনের জন্যই বিদ্রোহীদের কাছে প্রায় ৫০ টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে।
পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি সি-সেভেন্টিন বিমান এই অস্ত্র সরবরাহের কাজে অংশ নিয়েছিল। অস্ত্র সরবরাহকারী বিমানগুলোর পাহারায় বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান নিয়োজিত ছিল।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন বিমানগুলো থেকে সিরিয়ার হাসাকা প্রদেশে অস্ত্র ফেলা হয়েছে। ওই অস্ত্রগুলোর মধ্যে হালকা অস্ত্র, তার গুলি এবং হ্যান্ড গ্রেনেড ছিল। তবে কোন গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে তা রেখেছে পেন্টাগন।
পেন্টাগন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিরিয়ার সরকারবিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি ব্যয়বহুল প্রকল্পও হাতে নিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। তবে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ওই প্রকল্প পরবর্তীতে বাতিল করা হয়েছিল।
তারা আরও জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত অর্থ বিদ্রোহীদের মাঝে অস্ত্র সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হবে। সেসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ইতোমধ্যে আইএসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ভালো অগ্রসর হয়েছে তাদের কাছে এই অস্ত্র সরবরাহ করা হবে।
পেন্টাগনের দাবি, মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমান থেকে ফেলা অস্ত্রগুলো সংগ্রহে সরকারবিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা সফল হয়েছে।
এদিকে সিরিয়াতে আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে রাশিয়ান যুদ্ধবিমানের হামলা অব্যাহত রয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কনাশেনকভ জানান, লাটাকিয়া প্রদেশে মাটির নিচে তৈরি করা আইএসের বেশ কয়েকটি গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। মহাকাশ থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবি থেকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই এই হামলা চালানো হয়। যুদ্ধবিমানের হামলায় সেসব গোপন আস্তানা এবং অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করা হয়েছে।
রাশিয়া দাবি করছে, বোমা হামলার অব্যাহত থাকায় আইএসের সদস্যদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটছে।