‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ পাউডার মেখে ক্যান্সার! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনই অভিযোগ উঠেছে প্রখ্যাত এই প্রসাধন কোম্পানির বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগ ওঠাই নয়, ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে মিসৌরি স্টেট আদালত।
জানা গিয়েছে, ছোট থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির পাউডার মেখে বড় হয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকার আলাবামা প্রদেশের বিরমিংঘামের জ্যাকুইলিন ফক্স। বড় হওয়ার পরেও শিশুদের প্রসিদ্ধ এই ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির প্রসাধন সামগ্রী ছাড়তে পারেননি তিনি। তাই ত্রিশের কোটা পার হয়ে যাওয়ার পরেও ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বেবি পাউডার অথবা ‘সাওয়ার টু সাওয়ার’ মাখতেন।
তারপর জ্যাকুইলিন ফক্সের বয়স যখন ৩৫ বছর হয়, তখন তাঁর ওভারিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর এই রোগের পিছনে অন্যকিছু নয়, ফক্সের প্রসাধন সামগ্রী ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’এর পাউডারই দায়ী বলে চিকিৎসকরা জানান। তারপর ক্যান্সার রোগেই ৬২ বছর বয়সে মারা যান ফক্স। এরপর ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফক্সের পরিবার। বেশ কিছুদিন ধরে মামলা চলার পর ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি বলে মেনে নেয় মিসৌরি স্টেট আদালত।
শুধু তাই নয়, এর শাস্তি হিসাবে ফক্সের পরিবারকে ৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেয়। ফক্সের পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানি প্রতারণা, উদাসীনতা এবং ষড়যন্ত্রমূলক অপরাধ করেছে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন। ১৯৮০ সাল থেকেই ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির সামগ্রী বিপজ্জনক বলেও দাবি জানিয়েছেন তিনি যদিও একথা অস্বীকার করেন ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির মুখপাত্র ক্যারোল গডরিচ। ফক্সের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির পাউডার সহ অন্যান্য প্রসাধন সামগ্রী সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। কয়েক দশক ধরে এটা বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। আদালতের এই রায়ে তাঁরা হতাশ।
তবে কেবল ফক্সের পরিবারই নয়, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানির বিরুদ্ধে আরও অনেকে মামলা দায়ের করেছে। যার মধ্যে মিসৌরি স্টেট আদালতেই চলছে ১ হাজারটি মামলা। এছাড়া নিউ জার্স আদালতে আরও ২০০টি মামলা চলছে। ফলে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও তাদের সামগ্রী কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ