২০১৭ সাল নাগাদ এক লাখ শরণার্থীকে আশ্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবছর ১৫ হাজার করে আগামী দুই বছরে দেশটিতে ৩০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হবে। এছাড়া চলতি বছরই দেশটিতে ৭০ হাজার শরণার্থী আশ্রয় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি রোববার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেনমিয়ারের সঙ্গে বৈঠককালে এ তথ্য জানান।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা জানিয়েছিলেন, তার দেশ আগামী বছর ১০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে। রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বেশি সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয়ের ঘোষণা দিলেও তাদের মধ্যে কতজন সিরীয় শরণার্থী থাকবে সে ব্যাপারে কিছুই জানাননি। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত শরণার্থীদের অধিকাংশই সিরিয়ার হলেও তাদের মধ্যে সংঘাতপূর্ণ আফ্রিকার দেশগুলির শরণার্থীও থাকবে।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বেশি সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গে কেরি বলেন, ‘ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রক্ষার করে এই সংখ্যা আরো বাড়ানোর উপায়ের বিষয়ে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করব। প্রয়োজনটা অনেক বেশি। কিন্তু আমরা ডাকে সাড়া দিতে প্রতিজ্ঞ।’
এদিকে বেশি সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয়ের ব্যাপারে সরকারের এসব পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যরা। তাদের মতে প্রশাসন সন্ত্রাসীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দুয়ার খুলে দিচ্ছে ।
রিপাবলিকান দলের কংগ্রেস সদস্য বব গুডলেট ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সিনেটর চাক গ্রাসলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, শরণার্থী বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পরিকল্পনা নিতে হবে যাতে দেশে কোনো সন্ত্রাসী প্রবেশ করতে না পারে।