‘ব্যাংকাস্যুরেন্স গাইডলাইনস ফর ব্যাংকস’ চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৫-২৬ ১৮:০৭:১২


ব্যাংকাস্যুরেন্স কার্যক্রম পরিচালনার করতে ব্যাংকগুলোর জন্য প্রযোজ্য নির্দেশনাবলী ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স গাইডলাইনস ফর ব্যাংকস’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে এ সংক্রান্ত স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ব্যাংক ও বিমা খাতের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের পক্ষে এতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনটির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল), তিনি এ সংক্রান্ত যৌথ কমিটির সদস্য। গাইডলাইনটি প্রস্তুত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা বেগমকে আহবায়ক করে উভয় খাতের প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৪ সদস্যের একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

যৌথ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ইসমাইল হোসেন, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পরিচালক (উপসচিব) মো. শাহ আলম, প্রাইম ব্যাংকের হেড অব ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট মিয়া মোহাম্মদ রবিউল হাসান, সিটি ব্যাংকের চীফ ইকোনমিস্ট এন্ড কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার মো. আমানুর রহমান;

পিডব্লিউসি’র এসোসিয়েট ডাইরেক্টর মো. সাদেক উজ জামান, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ওয়াফি শফিক মেনহাজ খান, মেটলাইফ বাংলাদেশের হেড অব ব্যাংকাস্যুরেন্স মোহাম্মদ আসিফ শামস, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হেড অব প্রায়োরিটি এন্ড ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট তন্বি হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।

এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিমাপণ্য বিক্রির ব্যবস্থাই হলো ব্যাংকাস্যুরেন্স। ব্যাংক ও বিমা কোম্পানির অংশীদারত্বে পরিচালিত এ সেবা চালু হলে উভয় খাতই লাভবান হবে। এতে ব্যাংকের জন্য যেমন আয়ের নতুন উৎস তৈরি হবে, তেমনি বিমা কোম্পানিরও প্রিমিয়াম আয় বাড়বে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করা সম্ভব হবে। এরইমধ্যে ব্যাংকের জন্য গাইডলাইন চূড়ান্ত করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এখন বিমা কোম্পানির জন্য একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো হবে।

বিআইএ’র প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) উভয় গাইডলাইন চূড়ান্ত করবে। পরবর্তীতে একটি জয়েন্ট রেগুলেটরি কমিটি গঠনা করা হবে, ওই কমিটি গাইডলাইন দু’টি দেখভাল করবে এবং প্রয়োজনে সময়ে সময়ে এতে পরিবর্তন-পরিবর্ধন করবে।

এএ